ভোরের বাণী
ছবি. সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
ইসলাম আমাদের শেখায়—প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভীতি নয়, বরং আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ নির্ভরতা ও আত্মসমর্পণই শান্তির পথ। ঝড় বা প্রবল বৃষ্টির সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) যে বিশেষ দোয়াগুলো পাঠ করতেন, তা আজও প্রতিটি মুসলমানের জন্য মানসিক প্রশান্তি ও আধ্যাত্মিক নিরাপত্তার উৎস হতে পারে।
ঝড়ের সময় পড়ার দোয়া:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ
বাংলা অনুবাদ: “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এর কল্যাণ, এর অন্তর্নিহিত কল্যাণ এবং যে উদ্দেশ্যে এটি প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ প্রার্থনা করি। এবং এর অনিষ্ট, এর অন্তর্নিহিত অনিষ্ট ও যেই কারণে এটি প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই।”
(সহিহ মুসলিম: ৮৯৯)
বৃষ্টির সময় পড়ার দোয়া:
اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا
বাংলা অনুবাদ: “হে আল্লাহ! এটিকে কল্যাণকর বৃষ্টি বানিয়ে দিন।”
(সহিহ বুখারি: ১০৩২)
এই দোয়াগুলো শুধু মুখের শব্দ নয়, বরং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, হৃদয়ের গভীর নিবেদন ও আত্মিক আত্মসমর্পণের প্রতীক। এগুলোর মাধ্যমে একজন মুমিন দুর্যোগের মধ্যেও আশ্রয় খুঁজে পান, খুঁজে পান প্রশান্তির অনুভব।
আধ্যাত্মিক দিক:
ইসলামের দৃষ্টিতে, দোয়া হলো এক অনন্য উপায় যার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে—বিশেষ করে বিপদের সময়। ঝড়-বৃষ্টি শুধু প্রাকৃতিক ঘটনা নয়; এটি একজন বিশ্বাসীকে আল্লাহর কাছে আরও বেশি করে ফিরে যেতে উদ্বুদ্ধ করে।
এই প্রাসঙ্গিক ও সুন্দর দোয়াগুলো শিক্ষার্থীদের, ইমামদের এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঘরে ঘরে শেখানো উচিত। কারণ স্রষ্টার প্রতি নির্ভরতা, বিশেষ করে দুর্যোগকালে, জীবনের জন্য হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় অবলম্বন।