ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) কাতারের রাজধানী দোহায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ যদি যুক্তরাষ্ট্র নিতে পারে, তবে সেটিকে ‘ফ্রিডম জোন’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে—যেখানে মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারবে।
ট্রাম্প বলেন, “গাজার জন্য আমার কিছু পরিকল্পনা আছে। যেগুলো আমি বিশ্বাস করি, ভালো ফল বয়ে আনবে। চলুন একে একটি ফ্রিডম জোন হিসেবে তৈরি করি। যুক্তরাষ্ট্রকে এতে অংশ নিতে দিন। আমি গর্বিত হব যদি যুক্তরাষ্ট্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় ও সেখানে নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তোলা হয়।”
তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রথমেই হামাসকে মোকাবিলা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিচালিত হামাসের ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “এটি মানব ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস ঘটনা। ৭ অক্টোবরের হামলাটি কেবল এই অঞ্চল নয়, বরং বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে ভয়ংকর হামলার একটি।”
তিনি আরও বলেন, “যদি সত্যিই গাজার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়, তবে আগে হামাসের উগ্র অবস্থান এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অবসান ঘটাতে হবে। এরপরই সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রকৃত সুযোগ তৈরি হবে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে। কারণ, গাজা উপত্যকা ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি অবরোধ, অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক জটিলতায় জর্জরিত। যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের প্রস্তাব আরও বেশি রাজনৈতিক বিতর্ক এবং নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।
গাজা উপত্যকা গত দুই দশক ধরে হামাসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইসরায়েল ও মিসরের আরোপিত অবরোধে সেখানে মানবিক বিপর্যয় ঘনীভূত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের প্রস্তাব অনেকের কাছেই অবাক করা মনে হয়েছে।