ভোরের বাণী
ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মর্যাদার আসর ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এর তৃতীয় চক্র শেষ হতে যাচ্ছে একটি উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার এই মহারণে যেমন নির্ধারিত হবে সেরা দলের নাম, তেমনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবারের রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পুরস্কার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবার ঘোষণা করেছে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রাইজমানি, যার ভাগিদার হয়েছে প্রতিটি অংশগ্রহণকারী দল—বাংলাদেশসহ।
২০২৩–২৫ চক্রের জন্য আইসিসি যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে, তা পূর্ববর্তী দুটি আসরের তুলনায় অনেক বেশি। এবারের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৩.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। রানারআপ দল পাবে ২.১৬ মিলিয়ন ডলার, যা ২৫ কোটির বেশি।
আগের দুই আসরে যেখানে বাংলাদেশ ছিল তলানিতে, এবার সেই দলই জায়গা করে নিয়েছে তালিকার সপ্তম স্থানে। মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্তদের নেতৃত্বে ১২টি ম্যাচে ৪টি জয় এসেছে, যা একটি বড় অগ্রগতি।
বিশেষ করে পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ জয় ছিল এই চক্রের অন্যতম বড় অর্জন। ২০১৯–২১ চক্রে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ২০২১–২৩ চক্রে জয় এসেছিল মাত্র একটিতে। এবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারটিতে, যা দলের উন্নতির ধারাবাহিকতাকে প্রতিফলিত করে।
আর্থিক পুরস্কার যেমন একটি বড় অনুপ্রেরণা, তেমনি বাংলাদেশ দলের জন্য এবারের অবস্থান এবং জয়সংখ্যা ভবিষ্যতের জন্য দারুণ বার্তা বয়ে আনবে। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ধারাবাহিকতা এবং মানসিক দৃঢ়তার কোনো বিকল্প নেই।
আইসিসির এমন প্রাইজমানির ঘোষণায় প্রতিটি দলের মধ্যেই প্রতিযোগিতার মাত্রা বাড়বে। সেই সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি দর্শক ও বোর্ডগুলোর আগ্রহও বাড়বে বলে আশা করা যায়।