Logo Logo

ফাতওয়া-৮

আল্লাহ ও রাসূল ﷺ-কে নিয়ে কটূক্তিকারীর ব্যাপারে করণীয়—ইসলামের নির্দেশনা


Splash Image

ছবি : সংগৃহিত

আল্লাহ ও রাসূল ﷺ সম্পর্কে কটূক্তিকারীর শাস্তি ও করণীয় কী? কুরআন-হাদীসের আলোকে ইসলামী আলেমের ব্যাখ্যা ও শরীয়তের নির্দেশনা


বিজ্ঞাপন


বর্তমানে দেশে নাস্তিক্যবাদ ও ইসলামবিরোধী বক্তব্যের প্রসার দেখা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যেখানে কেউ আল্লাহ, তাঁর রাসূল ﷺ কিংবা ইসলামকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে বসে। অনেকের মনে তখন প্রশ্ন জাগে— এ ধরনের ব্যক্তিকে কি সাথে সাথে হত্যা করা বৈধ? ইসলামের দৃষ্টিতে এমন অবস্থায় করণীয় কী?

ইসলামী গবেষক আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু) জানান
কোনো মুসলিম আল্লাহ ও রাসূল ﷺ কিংবা দ্বীনের মৌলিক বিষয়ে কটূক্তি করলে তাকে হত্যা করার প্রশ্ন তখনই আসে, যখন প্রমাণ হয় যে সে তার বক্তব্যের মাধ্যমে ইসলাম ত্যাগ করেছে (মুরতাদ হয়েছে)। কিন্তু কোন বক্তব্যে কেউ মুরতাদ হয় আর কোনটিতে হয় না— এটি জটিল বিষয়, যা নির্ধারণ করতে পারে কেবল বিজ্ঞ আলেম। সাধারণ মানুষের জন্য করণীয় হলো নিজের সিদ্ধান্ত না নিয়ে আলেমদের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা।

আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ’ গ্রন্থে বলা হয়েছে

“কোনো মুসলিমকে কাফের ঘোষণা করার আগে তার কথা বা কাজ যাচাই করা জরুরি। সব ভুল কথা বা কাজই কুফর নয়। সাধারণ মানুষের উচিত এই গুরুতর বিষয় এড়িয়ে চলা এবং তা আলেমদের ওপর ন্যস্ত করা।”

রাসূলুল্লাহ ﷺ সতর্ক করেছেন—

“যদি কেউ তার ভাইকে ‘কাফের’ বলে ডাকে, আর যদি সে আসলেই কাফের না হয়, তবে এই শব্দ বক্তার উপরই ফিরে আসবে।” [সহীহ বুখারী: ৬১০৪, সহীহ মুসলিম: ৬০]

আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেন—

“যদি কেউ কাউকে ‘কাফের’ বা ‘আল্লাহর শত্রু’ বলে সম্বোধন করে, অথচ সে তেমন না হয়, তবে এই সম্বোধন বক্তার দিকে ফিরে যাবে।” [সহীহ মুসলিম: ৬১]

ইসলামী বিধান অনুযায়ী:

ইরতিদাদ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড মূলত শরীয়তের স্বাভাবিক বিধান। তবে বর্তমান সময়ে, বিশেষত বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতিতে, হঠকারী পদক্ষেপের আগে লাভ-ক্ষতির হিসাব জরুরি। এতে মুসলিম উম্মাহর উপকার হচ্ছে নাকি ক্ষতি— তা নির্ধারণ করা আবশ্যক। এজন্য অভিজ্ঞ, শরীয়ত-জ্ঞানে সমৃদ্ধ আলেমের পরামর্শ নেওয়াই সঠিক পথ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...