ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
এর মধ্যে মাত্র ২ জন উপাচার্য তাদের পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন। এমন অস্থির পরিবেশে গত দেড় বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি পেয়েছে ৩ জন উপাচার্য।
২০১১ সালে প্রতিষ্ঠাকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ খান।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য এস. এম. ইমামুল হকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে তিনি মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস আগেই ছুটিতে যেতে বাধ্য হন। তার অনুপস্থিতিতে অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মাহবুব হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০২৩ সালের নভেম্বরে তিনি তার মেয়াদ শেষ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া প্রথমে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে পূর্ণ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন।
এরপর ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম এবং প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন। তবে তিনিও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০২৫ সালের ১৩ মে অপসারিত হন।
সর্বশেষ, ২০২৫ সালের ১৩ মে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম।
মোঃ আশিকুল ইসলাম,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।।