ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলা অনুবাদসহ কুরআন শরীফ এবং ছাত্রশিবিরের ঐতিহাসিক কুরআন দিবসের প্রেক্ষাপট সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত হয়ে কুরআন সংগ্রহ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, একটি টেবিলে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো ছিল বাংলা অনুবাদসহ পবিত্র কুরআন। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা সেখানে এসে কুরআন সংগ্রহের পাশাপাশি সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কেও অবগত হচ্ছিলেন।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে মোট ১২০০ কপি কুরআন বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ কপি বিতরণ করা হয়েছে।
কুরআন নিতে আসা এক শিক্ষার্থী বলেন, “ক্লাস শেষে হলে ফিরছিলাম, তখন দেখি কুরআন বিতরণের আয়োজন। বাংলা অনুবাদসহ কুরআন পেয়ে ভালো লাগছে, কারণ আমরা অনেক সময় শুধু কুরআন পড়ি, কিন্তু অর্থ জানি না। এই আয়োজনটি খুবই প্রশংসনীয়।”
ভেটেরিনারি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুবা সাদিয়া বলেন, “আজকের উদ্যোগটি খুব ভালো লেগেছে। আমি মূলত কুরআনটি নিচ্ছি আমার মায়ের জন্য। এটি আমাদের কুরআন পাঠে আরও উৎসাহিত করছে।”
বাকৃবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, “১১ মে কুরআন দিবস উপলক্ষে আমরা কুরআন বিতরণের পরিকল্পনা করেছিলাম, তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আজ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। আমরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচি চালু রাখতে চাই। শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় পাশে থাকবে এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে।”