ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় জনতা। শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন শেখ রেজাউল করিম মিলন, যিনি চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রোববার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুপুর ১টা পর্যন্ত কুমারখালী-পান্টি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
একাধিক অভিযোগের পাহাড়
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক শেখ রেজাউল করিম মিলনের বিরুদ্ধে শুধু এই একজন ছাত্রীই নয়, অতীতে আরও একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের দুর্নীতি ও প্রশাসনিক অনিয়ম রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তারা।
তারা আরও জানান, এসব অভিযোগ বারবার তোলা হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। তাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে মানববন্ধন থেকে। দাবিগুলো মানা না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সড়ক ছাড়ে জনতা
বিক্ষোভ চলাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ। তিনি বিচারের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শেখ রেজাউল করিম মিলনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি, ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া।।