ভোরের বাণী
ছবি. সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
হজযাত্রীরা মোট ১২৪টি ফ্লাইটে সৌদি পৌঁছান। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা করেছে ৬২টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৪২টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালনা করেছে ১৬টি ফ্লাইট।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছেন ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছেন ৮১ হাজার ৯০০ জন। হজ ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২৯ এপ্রিল থেকে এবং তা চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন এবং শেষ হবে ১০ জুলাই। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ জুন।
হজযাত্রার শুরুতেই এক দুঃখজনক খবর হলো—এ পর্যন্ত হজ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন হজযাত্রী। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৭ জন পুরুষ ও ১ জন নারী। সর্বশেষ শনিবার (১৭ মে) গাজীপুর সদর উপজেলার মো. জয়নাল হোসেন (৬০) মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গিয়েছিলেন।
এছাড়া মৃত্যুবরণকারী অন্য হজযাত্রীরা হলেন—জামালপুরের বকশীগঞ্জের হাফেজ উদ্দিন, রাজবাড়ীর খলিলুর রহমান, কিশোরগঞ্জের মো. ফরিদুজ্জামান, পঞ্চগড়ের আল হামিদা বানু, ঢাকার মোহাম্মদপুরের মো. শাহজাহান কবীর, নীলফামারির ফয়েজ উদ্দীন এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার অহিদুর রহমান।
হজ ২০২৫-কে ঘিরে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং হজ অফিসের সমন্বয়ে প্রতিদিন হজের সর্বশেষ তথ্য ও আপডেট প্রকাশ করা হচ্ছে। হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন এবং যাতায়াত ব্যবস্থায় উন্নতি আনতে কাজ করছে সরকার ও বিভিন্ন হজ এজেন্সি।
হজযাত্রার শুরুতেই কয়েকজন হজযাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এলেও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের সমস্যা দেখা যায়নি। যাত্রীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং সঠিক তথ্য সরবরাহে প্রশাসন সজাগ রয়েছে।
পবিত্র হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি এবং মুসলমানদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বিপুল সংখ্যক হজযাত্রী যেন নিরাপদে, সুস্থভাবে এবং সুন্দরভাবে হজ পালন সম্পন্ন করতে পারেন—এ কামনা সকলের।