ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন নেতৃত্বে উজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করেছেন লিটন দাস। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে তিনি ছিলেন কিছুটা ম্লান। সেই কারণে এশিয়া কাপের আগে তার ফর্ম নিয়ে নানা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজে ব্যাট হাতে ঝলমলে নৈপুণ্য দেখিয়ে তিনি যেন সব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। সিরিজে সর্বোচ্চ ১৪৫ রান করে জিতেছেন সিরিজসেরা পুরস্কার, আর বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়। যদিও তৃতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়, তবুও সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসে দল।
সংবাদ সম্মেলনে লিটন জানান, তিনি অধিনায়কত্বের দায়িত্ব উপভোগ করছেন। তার ভাষায়, দায়িত্ব উপভোগ করার কারণেই তিনি নেতৃত্ব নিতে আগ্রহী হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দল একের পর এক সিরিজে ভালো ক্রিকেট খেলছে, আর তিনি নিজেও পারফর্ম করতে পারছেন—যা দলের মানসিক দৃঢ়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। লিটনের মতে, কোনো নেতা রান না করলে পুরো দল মানসিকভাবে চাপে পড়ে যায়। তাই ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পেরে তিনি নিজেও ভীষণ খুশি।
এবারের সিরিজে রান পেয়ে লিটন নিজের আত্মবিশ্বাসও ফিরে পেয়েছেন। তার মতে, দলের সবাই যখন পারফর্ম করে, তখন অধিনায়ক হিসেবে তিনিও অবদান রাখতে চান। সে লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় তিনি ভীষণ আনন্দিত। অধিনায়কত্ব নেওয়ার পর টানা তিন সিরিজে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন লিটন। সিলেটে হ্যাটট্রিক সিরিজ জয় উদযাপন করতে গিয়ে তিনি ভেন্যুরও প্রশংসা করেছেন। তার মন্তব্যে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম ব্যাটিং-বান্ধব মাঠ হিসেবে আলাদা পরিচিতি পেয়েছে। আউটফিল্ডও চমৎকার, যেখানে খেলা খেলোয়াড়দের জন্য যেমন উপভোগ্য, দর্শকদের জন্যও আনন্দের।
অন্যদিকে মিরপুরের পরিস্থিতি তুলনামূলক কঠিন বলেও মন্তব্য করেন লিটন। তার মতে, শুধু বাংলাদেশি নয়, বিদেশি খেলোয়াড়রাও মিরপুরে খেলতে এসে সমস্যায় পড়েন। ফলে সিলেট ব্যাটসম্যানদের জন্য সত্যিই একটি ভালো বিকল্প। সব মিলিয়ে দায়িত্বশীল নেতৃত্ব, ফর্মে ফেরা ব্যাটিং আর দলীয় সাফল্যের সমন্বয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আত্মবিশ্বাসী এক নতুন অধ্যায় রচনা করছেন লিটন দাস।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...