ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বঙ্গোপসাগরে মে মাসের শেষ দিকে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া ও জলবায়ু বিশ্লেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষক ১৯ মে (সোমবার) ভোরে দেওয়া তৃতীয় পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, ২৭ থেকে ৩০ মে’র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
তিনি জানান, পূর্বের দুটি পূর্বাভাসে (প্রথমটি ১১ মে, দ্বিতীয়টি ১৪ মে) ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই তৃতীয় পূর্বাভাসে তিনি বলেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নামের তালিকা অনুযায়ী, এ ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘শক্তি’ — এটি শ্রীলংকার দেওয়া নাম।
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র পাশাপাশি একই সময়ে আরব সাগরেও আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়টি আগে তৈরি হবে এবং তার পরে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হবে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, যদি আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরের ঝড়ের দু-এক দিন আগেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে ‘শক্তি’ বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়াগত পূর্বাভাস মডেলগুলো বলছে, ২৯ থেকে ৩০ মে’র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। তবে এখনো পর্যন্ত এটি ঠিক কোন জায়গায় আঘাত হানবে তা নিশ্চিত নয়। গবেষকের মতে, আবহাওয়ার গতি প্রকৃতির ওপর নির্ভর করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।
জানা গেছে, এ বছরের ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের প্রথম দুটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম যথাক্রমে ‘শক্তি’ এবং ‘মন্থা’ — ‘শক্তি’ নামটি শ্রীলংকার দেওয়া এবং ‘মন্থা’ নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উপকূলবর্তী দেশগুলো প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড়ের বড় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশেষ করে মে ও নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের প্রাদুর্ভাব বেশি। অতীতে ২০০৭ সালের ‘সিডর’, ২০১৩ সালের ‘ফাইলিন’ কিংবা ২০২০ সালের ‘আমফান’— প্রতিটি ঘূর্ণিঝড় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি ডেকে এনেছে। তাই আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতির বিকল্প নেই।