ঈদে মিলাদুন নবী উদযাপন কি বিদআত? জানুন ইসলামের প্রকৃত অবস্থান
বিজ্ঞাপন
রবিউল আউয়াল মাস মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এ মাসেই আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দুনিয়ায় রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। আল-কোরআনে বলা হয়েছে— “নিশ্চয়ই আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপই প্রেরণ করেছি।” (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)
নবীজীর পুরো জীবন মানবজাতির জন্য কল্যাণ ও হেদায়েতের উৎস। তাই তাঁর আদর্শকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুসরণ করাই প্রকৃত সুন্নাহ। তবে ইসলামে ঈদে মিলাদুন নবী বা জশনে জুলুসের মতো উদযাপন প্রমাণিত নয়। বরং হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বছরে মাত্র দুটি ঈদ নির্ধারণ করেছেন— ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। অন্য কোনো ঈদ শরীয়তে অনুমোদিত নয়।
ঐতিহাসিকভাবে দেখা যায়, ঈদে মিলাদুন নবী উদযাপনের সূচনা হয় হিজরির ষষ্ঠ শতাব্দীতে ইরাকের মুসিল শহরে। পরবর্তীতে ভারতবর্ষে শিয়া সম্প্রদায়ের প্রভাবে জশনে জুলুস প্রচলিত হয়। ইসলামী গবেষক ও আলেমদের মতে, এ ধরনের উদযাপন বিদআত এবং শরীয়তের পরিপন্থী।
প্রকৃতপক্ষে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর জন্মদিন স্মরণ করতেন রোজার মাধ্যমে। সহীহ মুসলিমে হযরত আবু ক্বাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে— নবীজি সোমবারে রোজা রাখার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, “সোমবারে আমার জন্ম হয়েছে এবং এ দিনেই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।”
অতএব ১২ রবিউল আউয়ালকে কেন্দ্র করে উৎসব-অনুষ্ঠান করার পরিবর্তে সুন্নাহর অনুসরণে সোমবারে রোজা রাখা এবং নবীজীর জীবনাদর্শে চলাই তাঁর জন্মদিন স্মরণের সঠিক পদ্ধতি। আলেমগণ একমত— বিদআত পরিহার করে প্রকৃত সুন্নাহ আঁকড়ে ধরলেই নবীজীর প্রতি ভালোবাসা ও আনুগত্য প্রমাণিত হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...