Logo Logo

বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ নেপাল, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬


Splash Image

নেপালে ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশজুড়ে ভয়াবহ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে এ বিক্ষোভে অংশ নেন। পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১৬ জনে। আহত হয়েছেন আরও শত শত মানুষ।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি নেতৃত্বাধীন সরকার ফেসবুক, ইউটিউব, এক্সসহ মোট ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এ সিদ্ধান্তের পর থেকে দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানীর বিক্ষোভ দ্রুত হিমালয় কন্যা খ্যাত দেশটির অন্যান্য জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করেছে সরকার।

বিক্ষোভ দমনে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে। তবে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী চড়াও হয়। এতে বহু মানুষ হতাহত হন।

রাজধানীর বানেশ্বরে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

নেপালের ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসক ডা. দীপেন্দ্র পাণ্ডে জানান, তাদের হাসপাতালে সাতজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। আরও ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের অধিকাংশের মাথা ও বুকে গুলির আঘাত রয়েছে।

অন্যদিকে, বানেশ্বরের এভারেস্ট হাসপাতালে পাঁচজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তা অনিল অধিকারী। সেখানে আরও অন্তত ৫০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।

কাঠমান্ডুর সিভিল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন চন্দ্র রেগমি জানিয়েছেন, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই বিক্ষোভকারী মারা গেছেন। এছাড়া কেএমসি হাসপাতাল এবং ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে একজন করে নিহত হয়েছেন। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

এ সময় আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক তরুণ বিক্ষোভকারী বলেন, “আজ আমরা ইতোমধ্যে জয়ী হয়েছি। ভেতর থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী উসকানি দিলেও আমাদের আন্দোলন থামবে না।”

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে বিক্ষোভ আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...