বিজ্ঞাপন
সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলতে নামা দলগুলোকে শুধু প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নয়, কঠিন আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করতেও হবে। গরম ও আর্দ্রতা ব্যাটার ও বোলারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া ম্যাচের শেষ ভাগে শিশিরের প্রভাবও বোলিংয়ে প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে টস জেতা দল কৌশলগত সুবিধা পাবে।
ভারত-পাকিস্তান লড়াই সবসময়ই ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আলাদা উত্তেজনা তৈরি করে। এবারের গ্রুপ পর্বেই এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই দেখবে বিশ্ব ক্রিকেট। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা নিজেদের ছন্দে ফিরতে মরিয়া। আফগানিস্তানও এখন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, যারা যে কোনো দলকে চমকে দিতে পারে।
ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা হংকংয়ের মতো দলগুলো হয়তো বড় কোনো শিরোপার দাবিদার নয়, তবে তাদের লক্ষ্য থাকবে শীর্ষ দলগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ও নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করা। বিশেষ করে হোম ভেন্যুতে খেলতে নামা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেটাররা চাইবেন দর্শকদের সামনে চমক দেখাতে। উল্লেখযোগ্য, এই দলের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ, সেই স্মৃতি এখনও জীবন্ত।
বাংলাদেশের জন্য এবারের আসর অনেকটা পরীক্ষা হিসেবে ধরা হচ্ছে। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে—দুই ফরম্যাটেই ছন্দ খুঁজছে টাইগাররা। লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমনদের ব্যাটিং ও তাসকিন-মুস্তাফিজদের বোলিং কতটা ধারালো হবে, সেটিই নির্ধারণ করবে তাদের পথ কত দূর পর্যন্ত যাবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশনে বল-বাতাস, গরম-শীতল সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে যে দল ভারসাম্যপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারবে, তারাই টিকে থাকবে আসরের শেষ পর্যন্ত। একদিকে ভারত-পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, অন্যদিকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার সমীকরণ ও আফগানিস্তানের বিস্ফোরক ক্রিকেট—সব মিলিয়ে এবারের এশিয়া কাপ হতে যাচ্ছে রোমাঞ্চে ভরপুর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...