ভোরের বাণী
নবগঙ্গা নদীজুড়ে কচুরিপানার চাদর—নৌকা তো দূরের কথা, পানি পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। ছবি: রাজীব হোসেন, মাগুরা প্রতিনিধি।
বিজ্ঞাপন
শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থী প্রতিদিন নৌকা পার হয়ে ক্লাসে যেত। কিন্তু নদীতে কচুরিপানার দখলে এখন আর নৌকা চলাচল করতে পারছে না। ফলে শিক্ষার্থীদের ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। এতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে কষ্ট পেতে হচ্ছে শিশু-কিশোরদের।
এদিকে কচুরিপানার কারণে মৎস্যজীবীরাও নদীতে মাছ ধরতে পারছেন না। বড়শি, জাল বা অন্যান্য উপায়ে মাছ ধরা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় দুই শতাধিক জেলে পরিবার বেকার হয়ে পড়েছে এবং তাদের জীবিকা চরম সংকটে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় এই নদীতে স্টিমার চলত। তবে কালের বিবর্তনে নদীটি ভরাট হয়ে গেলে গত বছর খনন করা হয়। কিন্তু খননের পরও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে নদীটি আবার কচুরিপানায় ভরে গেছে। নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এখন শুধু কচুরিপানা, পানি দেখা যায় না বললেই চলে।
এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে নদী থেকে কচুরিপানা অপসারণ করে নৌচলাচল স্বাভাবিক করতে হবে। নাহলে শিক্ষার্থী ও মৎস্যজীবীসহ প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আরও চরম দুর্ভোগে পড়বে।
প্রতিবেদক: মোঃ রাজিব হোসেন, মাগুরা।