ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
তারা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ক্যাপিটাল জিউয়িশ মিউজিয়ামে একটি ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার সময় খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ঘটনাটি স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়। বিবিসির বরাতে জানা যায়, হামলাটি উদ্দেশ্যমূলক এবং পরিকল্পিত ছিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানায়, এটি ছিল সরাসরি তাদের লক্ষ্য করে চালানো ইচ্ছাকৃত হামলা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান ক্রিস্টি নোম নিশ্চিত করেছেন যে নিহত দুই ব্যক্তি ইসরায়েলি দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।”
ঘটনার পরপরই ইলিয়াস রদ্রিগেজ নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে। জানা গেছে, তিনি শিকাগো থেকে এসেছেন এবং বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তদন্তকারীরা এ হামলার পেছনে সন্ত্রাসবাদ ও ঘৃণাপ্রসূত উদ্দেশ্যের সংযোগ খুঁজে দেখছেন।
ঘটনার পর এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের মুখপাত্র তাল নাইম কোহেন বলেন, “ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল জিউয়িশ মিউজিয়ামে একটি ইহুদি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় আমাদের দুই কর্মীকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা স্থানীয় ও ফেডারেল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখছি যে তারা অপরাধীকে আইনের আওতায় আনবে।”
এদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত এই হামলাকে “ইহুদিবিদ্বেষী সন্ত্রাসী হামলা” হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, “এই হামলা শুধু ইসরায়েল নয়, বরং সারা বিশ্বের ইহুদি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”
এই ঘটনার পর ওয়াশিংটন ডিসি সহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইহুদি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এ ধরনের হামলার ঝুঁকি বেড়েছে। মার্কিন প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে এখন অত্যন্ত সতর্ক।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...