Logo Logo

তহবিল সংকটে জাতিসংঘ, কমছে ১৪ হাজার শান্তিরক্ষী


Splash Image

জাতিসংঘ গুরুতর আর্থিক সংকটের কারণে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ৯টি শান্তিরক্ষা মিশন থেকে প্রায় ১৩–১৪ হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এই খবর নিশ্চিত করেছেন সংস্থার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা, যা বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত হয়েছে।

বর্তমানে শান্তিরক্ষী সংখ্যা যা রয়েছে, তা তার প্রায় এক-চতুর্থাংশের কাছাকাছি। এই পদক্ষেপের ফলে বেশ কিছু বেসামরিক কর্মীর চাকরিও ঝুঁকিতে পড়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস জানান, সংস্থাটি তার ৮০তম বার্ষিকীতে গুরুতর অর্থ সংকটে পড়েছে এবং কার্যকারিতা বাড়ানো ও ব্যয় কমানোর নতুন উপায় খুঁজছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী কার্যক্রমের সবচেয়ে বড় অর্থদাতা যুক্তরাষ্ট্র, যারা মোট বাজেটের প্রায় ২৬ ভাগ প্রদান করে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীন প্রায় ২৪ ভাগ অর্থ দান করে। তবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের কাছে ২.৮ বিলিয়ন ডলার বকেয়া রেখেছে, যা অর্থের বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে।

নতুন অর্থবছরের আগে দেশটির বকেয়া ছিল ১.৫ বিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে আরও ১.৩ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, শিগগিরই ৬৮০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হবে, তবে দেশটির জাতিসংঘ মিশন এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত আগস্টে ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য বরাদ্দকৃত ৮০০ মিলিয়ন ডলার শান্তিরক্ষা তহবিল একতরফাভাবে বাতিল করেন। তার প্রশাসনের বাজেট দপ্তর ২০২৬ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সব তহবিল বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছে, মালি, লেবানন ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের মিশনগুলো ব্যর্থ হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে দক্ষিণ সুদান, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লেবানন, কসোভো, সাইপ্রাস, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, পশ্চিম সাহারা, গোলান মালভূমি (ইসরাইল-সিরিয়া সীমান্ত) এবং আবিয়াই (দক্ষিণ সুদান-সুদান সীমান্তবর্তী প্রশাসনিক অঞ্চল) এলাকার শান্তিরক্ষী মিশনগুলো প্রভাবিত হবে।

উল্লেখ্য, এই মিশনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীও নিয়োজিত আছেন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...