ভোরের বাণী
ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) এবারের আসরে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন লাহোর কালান্দার্স। গতকাল (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে ৯৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় শাহীন আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন লাহোর।
লাহোরের জয়ে বড় অবদান ছিল বাংলাদেশি লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের। ৩ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। তার এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যাচ শেষে লাহোর ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধার সামিন রানা রিশাদকে আইফোন উপহার দেন।
লাহোর কালান্দার্স স্কোয়াডে থাকা তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের মধ্যে সাকিব আল হাসান ও রিশাদ হোসেন এদিন খেলেছেন। যদিও সাকিব ব্যাটে-বলে সফল হতে পারেননি, তবে রিশাদ ছিলেন একেবারেই জ্বলে ওঠা নায়ক। দলের চাপে থাকা মুহূর্তে তিনি ফিরিয়েছেন ইসলামাবাদের গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটসম্যান—সালমান আগা, শাদাব খান এবং জিমি নিশামকে। তার এই উইকেটগুলোই লাহোরকে জয় নিশ্চিত করার পথে এগিয়ে দেয়।
এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর রিশাদকে প্রশংসায় ভাসিয়ে সামিন রানা বলেন, "সত্যিই রিশাদ, তুমি আমাদের গর্বিত করেছ। তুমি চাপে ছিলে, তখন তুমি ওদের মূল ব্যাটসম্যানদের আউট করেছ, যারা স্পিনের বিপক্ষে ভালো বলেই ধরা হয়। তোমার জন্য থাকছে আইফোন।"
রিশাদ ছাড়াও এদিন পুরস্কার পেয়েছেন আরও তিনজন—৩ উইকেট নেওয়া পেসার সালমান মির্জা, ২৫ বলে ৫০ রান করা মোহাম্মদ নাঈম ও ৩৫ বলে ৬১ রান করা কুশল পেরেরা।
লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক শাহীন আফ্রিদি টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাট হাতে ঝড়ো শুরু করেন ওপেনাররা। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০২ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। দলীয় ৩৩ রানের মধ্যেই হারায় ৪ উইকেট।
এরপর সাময়িক প্রতিরোধ গড়েন শাদাব খান ও সালমান আগা। কিন্তু সেই জুটি ভাঙেন রিশাদ। পরপর দুই ওভারে ফেরান উভয়কে। ইসলামাবাদের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৫.১ ওভারে মাত্র ১০৭ রানে। শেষ দুটি উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি।
এই জয়ের ফলে ফাইনালে উঠেছে লাহোর কালান্দার্স। এবারের পিএসএলে লাহোরের পারফরম্যান্স বেশ উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়েই গেছে, তবে শেষ মুহূর্তে এসে তারা নিজেদের সামর্থ্যর প্রমাণ দিয়েছে। ফাইনালে এবার রিশাদদের চোখ ট্রফির দিকে।