ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৪ মে) শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দাবিপত্র পেশ করা হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সমস্যা ও বঞ্চনার মুখে থাকার পর তারা এই দাবিগুলো প্রণয়ন করেছেন যাতে বিশ্ববিদ্যালয় একটি আধুনিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাসে রূপ নিতে পারে।
৮২টি দাবির মধ্যে রয়েছে ২১টি দীর্ঘমেয়াদি, ৪১টি স্বল্পমেয়াদি এবং ২০টি শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়নের দাবি। আধুনিকায়ন অংশে শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে স্মার্ট বোর্ড, ডিপার্টমেন্টভিত্তিক ডিজিটাল লাইব্রেরি, অনলাইন পেমেন্ট ও আবেদন ব্যবস্থা, স্মার্ট আইডি কার্ড, ক্লাউডভিত্তিক গবেষণা পরিবেশ, সুপার স্পিড ইন্টারনেট জোন, বাস ট্র্যাকিং, ওয়ান-স্টপ কল সেন্টার এবং ইংরেজি ল্যাংগুয়েজ ল্যাব স্থাপনসহ নানা প্রযুক্তিনির্ভর সুবিধা চালুর দাবি জানিয়েছেন।
দীর্ঘমেয়াদী দাবির মধ্যে রয়েছে—ক্যাম্পাসের আয়তন ৩০০ একর বৃদ্ধি, শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:২০ বজায় রাখা, নতুন একাডেমিক ভবন ও গবেষণাগার নির্মাণ, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, ক্যাম্পাসে পরিকল্পিত বনায়ন, বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশ ও গবেষণাভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা, নতুন বিভাগ চালু, কেন্দ্রীয় মন্দির ও জিমনেশিয়াম নির্মাণসহ বিভিন্ন কাঠামোগত উন্নয়নের প্রস্তাব।
স্বল্পমেয়াদি দাবির মধ্যে রয়েছে—নিরপেক্ষ খাতা মূল্যায়ন, ছাত্রসংসদ নির্বাচন, পূর্বের সময়কার বিতর্কিত নিয়োগ বোর্ড বাতিল, ক্যাফেটেরিয়া ও হল ফি কমানো, হল সংস্কার, লাইব্রেরি ও রিডিং রুমে প্লাগপয়েন্ট স্থাপন, ক্লাসরুমে সাউন্ড সিস্টেম, ক্যাম্পাসে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ, আত্মহত্যা রোধে মনিটরিং ব্যবস্থা, পুকুর সংস্কার, গবেষণায় আর্থিক সহায়তা ও রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ, শারীরিক শিক্ষার উন্নয়ন, চাকরিবাজারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ ও পানির স্থায়ী সমাধান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন হলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণবঙ্গের একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠবে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনের সময়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় আন্দোলনে অংশ নেন। একপর্যায়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১৩ মে তাঁকে অপসারণ করা হয় এবং একই দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ তৌফিক আলম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
প্রতিবেদক-মোঃআশিকুল ইসলাম,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।