ভোরের বাণী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
রাশিয়া গত শনিবার রাত থেকে টানা দ্বিতীয় রাত ইউক্রেনজুড়ে রেকর্ডসংখ্যক ড্রোন হামলা চালায়। কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে চালানো এ হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ৮, ১২ ও ১৭ বছর বয়সী শিশুও রয়েছে। ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা বিভাগ জানায়, দেশজুড়ে এখন সন্ত্রাসের পরিবেশ বিরাজ করছে।
এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প গতকাল রোববার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, “ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক সব সময় ভালো ছিল, কিন্তু তিনি এখন পুরোপুরি উন্মাদ হয়ে গেছেন!”
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, “পুতিন শুধু ইউক্রেনের একটি অংশ নয়, পুরো দেশটি নিজের করে নিতে চান। তবে তিনি যদি এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন, সেটিই রাশিয়ার পতনের কারণ হবে।”
সাধারণত ট্রাম্পকে পুতিন-বিষয়ে রক্ষণশীল অবস্থানে দেখা যায়, এমনকি তিনি পূর্বে পুতিনের প্রশংসাও করেছেন। কিন্তু এবার তিনি স্পষ্টভাবে রাশিয়ার অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প বলেন, “তিনি শহরে শহরে রকেট ছুড়ছেন, মানুষ হত্যা করছেন। এটি আমার একদমই পছন্দ নয়।”
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেন, “রুশ নেতৃত্বের ওপর জোরালো চাপ ছাড়া এই নৃশংসতা থামানো সম্ভব নয়।” তিনি আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশের নীরবতা পুতিনকে আরও উৎসাহিত করছে।
তবে জেলেনস্কির বক্তব্য ট্রাম্প ভালোভাবে নেননি। তিনি জেলেনস্কিকে নিয়েও সমালোচনায় মুখর হন। ট্রাম্প বলেন, “তিনি যা বলেন, সবই সমস্যার কারণ হয়ে যায়। আমি এটা একেবারেই পছন্দ করি না, এবং এটি বন্ধ করাই ভালো।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যগুলো শুধু ট্রাম্প-পুতিন সম্পর্ক নয়, বরং ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয়। পাশাপাশি এটি ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের পরবর্তী কূটনৈতিক নীতিরও পূর্বাভাস হতে পারে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...