Logo Logo

প্রযুক্তির ব্যবহারে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ‘গরুর হাল’


Splash Image

বিজ্ঞানের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে নীলফামারীতে ঐতিহ্যবাহী গরুর হাল প্রায় বিলুপ্তির পথে। একটা সময় জমি চাষাবাদের জন্য অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য হলেও বর্তমানে এর ব্যবহার নেই বললেই চলে। তবে জেলার কিছু আংশিক পরিবার এখনো ঐতিহ্য ও গৌরবের প্রতীক এই গরুর হাল ধরে রেখেছেন।


বিজ্ঞাপন


সরজমিনে এই হালের বিষয়ে জানতে চাইলে আলতাফ মিয়া দৈনিক ভোরের বাণী জেলা প্রতিনিধিকে জানান, দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে তিনি এই হাল দিয়ে নিজের চাষাবাদসহ আশপাশের লোকজনের জমি চাষ করেন। তিনি প্রতি বিঘায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা নেন।

তিনি অশ্রুসিক্ত ভাষায় বিগত দিনের কথা তুলে ধরে বলেন, একটা সময় পরিবারের আয়ের মূল উপার্জন ছিল তার এই গরুর হাল। প্রতিনিয়ত দুই থেকে চার বিঘা জমি চাষ করতেন।

শীতের দিনে ঘন কুয়াশায় হাল চাষের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, "আমরা একসাথে তিনজন মিলে হাল চাষ করতাম, ক্লান্তি ছিল না। হাল চাষের ফাঁকে ফাঁকে কেউ ভাওয়াইয়া গান, কেউবা হাসির গল্প, কেউবা পারিবারিক কাহিনি বলতেন। কিন্তু এখন আর সেই দিনগুলো নেই।"

একই এলাকার দেলা মিয়া বলেন, ট্রাক্টর বা কলের লাঙল দিয়ে চাষাবাদ তার পছন্দনীয় হয় না। তিনি সেই অতীত দিনের কথা তুলে ধরে বলেন, একই গরু দিয়ে জমি চাষাবাদ এবং সেইসব গরু দিয়ে গরুর গাড়ি চালিয়ে গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে আসা, এমনকি বিয়ের বাড়ি পর্যন্ত যাওয়া হতো। এখন আর সেই গরুর হালের চাহিদা হারিয়ে গিয়েছে।

কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও দ্রুততার কারণে এক সময়ের প্রধান এই চাষ পদ্ধতি আজ বিলীন হতে চলেছে। তবে আলতাফ মিয়া ও দেলা মিয়ার মতো কিছু মানুষ এখনো গ্রামীণ ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে এই পেশা টিকিয়ে রেখেছেন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...