ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৬ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান।
অ্যান্ড্রুজ বলেন, কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রথা অনুযায়ী, মহাসচিবের পক্ষ থেকে এই মিশন পাঠানো হয়েছে। এই মিশনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো- বাংলাদেশের নির্বাচনে কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষক মিশনের উপস্থিতির বিষয়ে সব অংশগ্রহণকারীর মধ্যে সমর্থন আছে কিনা তা যাচাই করা। এছাড়া তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি মূল্যায়নও করছেন।
কমনওয়েলথ এর নির্বাচন সহায়তা বিভাগের প্রধান মি. লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির ড. দিনুষা পণ্ডিতরত্ন, মিসেস ন্যান্সি কানিয়াগো, মি. সার্থক রায় এবং মিসেস ম্যাডোনা লিঞ্চ।
এই প্রসঙ্গে মি. অ্যান্ড্রুজ নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে তথ্য দেওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্য কমিশনার ও সিনিয়র সচিবকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি জানান, মিশন ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে এবং এই সময়ে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক দাতা ও কূটনৈতিক সম্প্রদায়, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, কমনওয়েলথ সবসময় বাংলাদেশের জনগণের পাশে থেকেছে এবং আসন্ন এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা সেই সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, কমনওয়েলথের সকল সদস্য রাষ্ট্রে গণতন্ত্র একটি চলমান যাত্রা। নির্বাচনের পরেও কমনওয়েলথ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বজায় রেখে আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে। তিনি নির্বাচনোত্তর পর্বের (পোস্ট-ইলেকশন ফেইজ) দিকেও দৃষ্টি দেওয়ার কথা বলেন এবং জানান, পরবর্তী শাসনচক্রে কীভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়া যায়, সেদিকে তারা গভীরভাবে নজর রাখবেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...