Logo Logo
বিশ্ব

চাঁদে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চীন-রাশিয়ার চুক্তি


ভোরের বাণী

Splash Image

রাশিয়া ও চীন যৌথভাবে চাঁদে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা সফলভাবে সম্পন্ন হলে এটি হবে বিশ্বের প্রথম চন্দ্রভিত্তিক শক্তি কেন্দ্র।


বিজ্ঞাপন


মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করা এই মেগা প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে ২০৩৬ সালের মধ্যেই—এমনটাই জানিয়েছে মহাকাশবিষয়ক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম স্পেস ডট কম।

সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ২০২৬ সালের বাজেট প্রস্তাবনা প্রকাশ করে। তার ঠিক পরপরই রাশিয়া ও চীনের মধ্যে এই উচ্চাভিলাষী চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এটি হতে পারে মহাশক্তির প্রতিযোগিতামূলক এক পর্বের সূচনা, যেখানে চাঁদের ভবিষ্যৎ ব্যবহারের দিকনির্দেশনা নতুনভাবে লেখা হবে।

তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা একেবারে নতুন নয়। ২০২৪ সালে রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রোসকসমস-এর মহাপরিচালক ইউরি বরিসভ তাস বার্তাসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমরা চাঁদে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণাগার নির্মাণে আগ্রহী, যেখানে রোবট ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালিত হবে। এই গবেষণার লক্ষ্য হবে চন্দ্রপৃষ্ঠ এবং পরিবেশ নিয়ে গভীর ও দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা।”

এই প্রকল্পের জন্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলকে নির্বাচন করা হয়েছে, কারণ ধারণা করা হয়, সেখানে পানি ও সৌরশক্তির প্রাচুর্য রয়েছে, যা ভবিষ্যৎ চন্দ্র বসতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পের অংশ হিসেবে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ইতোমধ্যেই যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মিসর, পাকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অন্তত ১৭টি দেশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধু একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প নয়; বরং চাঁদে মানব বসতির প্রস্তুতির একটি প্রাথমিক ধাপ। পৃথিবীর বাইরে টেকসই জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন নিরবিচার বিদ্যুৎ সরবরাহ, আর সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে এই প্রকল্প।

এই চুক্তির মাধ্যমে চীন ও রাশিয়া যে মহাকাশে নিজেদের আধিপত্য আরও জোরালো করতে চাইছে, তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থাগুলো কীভাবে এই চ্যালেঞ্জের জবাব দেয়।

আরও পড়ুন

ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা