ভোরের বাণী
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমান। ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক এবং সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্ত বাংলা ডিসিপ্লিনের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান সাময়িক বহিষ্কারের পর এবার ফেসবুকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। ৪ মে দুপুরে দেওয়া পোস্টে তিনি প্রশাসনের প্রতি পরোক্ষভাবে হুমকির সুরে মন্তব্য করেছেন, যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে।
নোমান লিখেছেন, "প্রশাসন থেকে আমাকে যখনই ডাকবে আমি হাজির হবো। কিন্তু আমার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো বা পরিবারকে হয়রানি করলে ক্যাম্পাসে খারাপ কিছু ঘটার সম্ভাবনা থাকবে। এর দায় থাকবে একান্তই খুবির অদক্ষ প্রশাসনের। মাইন্ড ইট ভেরি কেয়ারফুলি।"
আরও লেখেন,"লিগ্যালভাবে আমি যে শাস্তি পাবো, মেনে নেব। তবে যারা ছাত্র সমাজকে অপমান করেছে, কলুষিত করেছে, চোর বলেছে—তাদেরও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।"
তার এই পোস্টের পর বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সমাজের অনেকে মনে করছেন, এটি শুধুই আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রচেষ্টা নয়; বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা।
এর আগে ৩ মে বিকেলে অনুষ্ঠিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমানকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। সেই সঙ্গে তার ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং স্নাতক ডিগ্রির সনদপত্র স্থগিত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ‘অ্যাটেম্পট টু মার্ডার’ ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন,"শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি শিক্ষকদের সম্মান রক্ষা করাও প্রশাসনের দায়িত্ব। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।"
নোমানের ফেসবুক পোস্ট সম্পর্কে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছেন।
-মাআ/আর