বিজ্ঞাপন
প্যারিসে আয়োজিত এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র কর্নেল গুইলাম ভার্নেট জানান, ফ্রান্স এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং ভারতের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য চেয়েছে।
ভার্নেট বলেন, "আমরা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভারতের প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে রয়েছি এবং ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।" তিনি আরও যোগ করেন, "রাফাল ফ্রান্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধবিমান। এর কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিয়ে যেকোনো সন্দেহ আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি।"
এর আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছিল, ৭ মে রাতে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর জবাবে তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি ফরাসি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি এসইউ-৩০। যদিও ভারত সরকার এখনো এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি। ভারতীয় বিমান বাহিনীর একমাত্র প্রতিক্রিয়া ছিল, “ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধের একটি অংশ।”
২০১৬ সালে ভারতের সঙ্গে ফ্রান্সের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তির আওতায় ভারত ৩৬টি রাফাল বিমান কেনে। এই বিমানগুলো ভারতের আধুনিক প্রতিরক্ষা কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ঘটনার আন্তর্জাতিক প্রভাবও বাড়ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন একটি রিপোর্টে ফ্রান্সের শীর্ষ এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পাকিস্তান অন্তত একটি রাফাল ভূপাতিত করেছে, এবং আরও কিছু রাফাল গুলির লক্ষ্য হয়েছিল কি না, তা এখন তদন্তাধীন। এই পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা প্রমাণ করে, ঘটনাটি কেবল ভারত-পাকিস্তানের সীমিত সংঘর্ষ নয়, বরং আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা মহলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।