"ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজর আলী (বামে) , অভিযুক্ত বিএনপি নেতা (ডানে)
বিজ্ঞাপন
দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও পৌর বিএনপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক শরীফের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৮ মে) দুপুরে। আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা হলেন ফজর আলী। এ ঘটনায় তার ছেলে আল মামুন ঠাকুরগাঁও সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ এমদাদুল হক শরীফকে গ্রেপ্তার করে এবং বৃহস্পতিবার (২৯ মে) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ওইদিন দুপুরে এমদাদুল হক শরীফ ও তার সহযোগীরা — মাজহারুল ইসলাম নয়ন, জহিরুল ইসলাম লিটন, রাসেল আহম্মেদসহ আরও ১০-১৫ জন আল মামুনদের দোকানঘর ও জমি জোরপূর্বক দখল করতে যান। এসময় ফজর আলী বাধা দিলে তাকে চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়। এতে তার কপাল ও হাত মারাত্মকভাবে জখম হয়।
আহতের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফজর আলীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আল মামুন জানান, “আমরা বাইরে কাজে থাকার সুযোগে তারা জমি ও দোকান দখল করতে আসে। আমার বাবা বাধা দিলে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয় এবং তার সঙ্গে থাকা ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।”
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনের—নয়ন, লিটন ও রাসেলের—মতামত পাওয়া যায়নি।
জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে দলের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজিত কুমার পাল বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা এমদাদুল হক শরীফকে আটক করেছি। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”