বিজ্ঞাপন
হোটেল-মোটেলগুলো ইতোমধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ বুকিংয়ে পূর্ণ হয়ে গেছে। আশা করা হচ্ছে, ঈদের পরবর্তী দুই-তিন দিনের মধ্যেই শতভাগ কক্ষ পূর্ণ হয়ে যাবে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবারের ছুটির দৈর্ঘ্য এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লাখো পর্যটকের আগমন ঘটবে কুয়াকাটায়। পর্যটকদের আরামদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা, থাকা-খাওয়া ও বিনোদনের ব্যবস্থায় রয়েছে বাড়তি নজরদারি।
ঢাকায় চাকরি করা বরিশালের বাসিন্দা মো. জহির রায়হান বলেন, "কোরবানির পর পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। সৈকতে নামতেই দেখি অনেক পর্যটক ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার বিশ্বাস, এবারের ঈদে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ভিড় হবে।" তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “এই সৈকতের উন্নয়নে আরও নজর দেওয়া জরুরি।”
ভ্যানচালক বেল্লাল ও বেঞ্চি ব্যবসায়ী আ. ছত্তার জানান, ঈদের আগের দিনেই প্রচুর পর্যটক এসেছে। আগামীর দু-তিন দিনে ভিড় আরও বাড়বে বলে তারা আশা করছেন। পর্যটকের সংখ্যা বাড়ায় তারা যেমন ব্যবসার আশায় খুশি, তেমনি তাদের আতিথেয়তায়ও সদা প্রস্তুত।
খান প্যালেস হোটেলের স্বত্বাধিকারী মো. রহিম খান বলেন, “আমাদের হোটেলের ৮০ শতাংশ রুম ইতোমধ্যেই বুকিং হয়ে গেছে। আশা করছি, কাল-পরশুর মধ্যেই সব রুম পূর্ণ হবে। আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত।”
হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোতালেব শরীফ জানান, “ছোট-বড় সব ধরনের আবাসন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যটকদের যেকোনো প্রয়োজনে আমরা পাশে থাকব।”
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। মোবাইল টিম টহল দিচ্ছে, সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে মাইকিংয়ের মাধ্যমে। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে পর্যটকদের জন্য।”
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবায় উপজেলা প্রশাসন, মহিপুর থানা পুলিশ ও টুরিস্ট পুলিশ একযোগে কাজ করছে।”
সাগর, সূর্য ও শান্তির শহর কুয়াকাটা যেন এবার ঈদের আনন্দকে আরও রঙিন করে তুলতে প্রস্তুত। পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, দেশের অর্থনীতির গতি ফেরাতে পর্যটনের এই জোয়ার অত্যন্ত ইতিবাচক বার্তা বয়ে আনবে।
প্রতিবেদক - জাকারিয়া জাহিদ, কলাপাড়া, পটুয়াখালী।