বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভোটের ফলাফল ঘোষণা করে সংগঠনটি। ফলাফলে দেখা যায়, মোট ১৮৬৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৪৩৬ জন। এর মধ্যে ১৩৩৪ জন ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়ে বাকসু নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন, যা শতকরা ৯০.৬৮%। ‘না’ ভোট দিয়েছেন ১০২ জন (৫.৪৫%) এবং ভোটদানে অংশ নেননি ৪৪৭ জন শিক্ষার্থী (২৩.৯৭%)।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৯ মে গণভোট কর্মসূচির উদ্বোধনের পর ১০ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল, টিএসসি এবং কে.আর মার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের মতামত সংগ্রহ করা হয়।
ফলাফল ঘোষণার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ফ্রন্টের বাকৃবি শাখার সভাপতি সঞ্জয় রায় এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জায়েদ হাসান ওয়ালিদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর শিক্ষার্থীদের অধিকার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাকসু গঠিত হয়েছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিরা শিক্ষা, গবেষণা ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলার সুযোগ পেতেন। কিন্তু গত ২৭ বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে বাকসু নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষাব্যবস্থায় নানাবিধ সংকট তৈরি হয়েছে। ফি বৃদ্ধি, বাজেট সংকোচনসহ নানা শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের কোনো মতামত প্রকাশের সুযোগ নেই।”
তারা আরও বলেন, “বাকসু কার্যকর থাকলে প্রশাসন একতরফাভাবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে এবং নীতি প্রণয়নে গণতান্ত্রিক চর্চা বজায় রাখতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, “ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গঠনতন্ত্র সংস্কার করে দ্রুত বাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে হবে। আগামী জুলাইয়ের পর নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য।
-বাকৃবি প্রতিনিধি