ভোরের বাণী
ছবি : ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
দোয়া কবুলের সেরা সময়: শেষ রাত ও ফরজ নামাজের পর
মুমিনগণ বিপদ-আপদ, দুশ্চিন্তা কিংবা কোনো চাহিদা নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে নিঃস্বার্থভাবে দোয়া করেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, যিনি পরম করুণাময় ও দয়ালু, তাঁর বান্দার দোয়া কখনোই উপেক্ষা করেন না।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন—
"প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারা যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনে, যাতে তারা সফলতা অর্জন করতে পারে।" (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬)
আরেক জায়গায় ইরশাদ হয়েছে—
"যারা আমার পথে পরিশ্রম করে, তাদের অবশ্যই আমি আমার পথ দেখাবো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে আছেন।" (সূরা আনকাবুত, আয়াত: ৬৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও নিয়মিত দোয়া করতেন এবং তাঁর উম্মতদের দোয়া করার সঠিক সময় ও উপায় সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন হাদিসে এমন অনেক সময়ের কথা বলা হয়েছে, যখন দোয়া বেশি কবুল হয়।
এর মধ্যে একটি অন্যতম সময় হলো রাতের শেষ তৃতীয়াংশ।
আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
“প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তায়ালা প্রথম আসমানে নেমে এসে বলেন: কে আছো, আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছে, আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে তা দান করবো। কে আছে, ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করবো।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১০৭৯)
আরেকটি সময় হলো ফরজ নামাজের পর।
আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, “ইয়া রাসুলাল্লাহ! কোন সময়ের দোয়া বেশি কবুল হয়?” তিনি উত্তরে বলেন—
“শেষ রাত এবং ফরজ নামাজের পর করা দোয়া।” (তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৯৯)
দোয়ায় আন্তরিকতা ও স্থিরতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা বান্দার একনিষ্ঠ প্রার্থনা ও বিশ্বাসের মূল্য দেন, কোনো শর্ত ছাড়াই তিনি তাঁর রহমত দিয়ে তাকে পুরস্কৃত করেন।