ছবি: অভিযুক্ত সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম ও স্থানীয় বিএনপি অফিসে সনাক্ত হওয়া পেপে গাছের কান্ড – পিরোজপুরের আলোচিত হাঁস চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত প্রমাণ
বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর গ্রামে। অভিযোগকারী আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম পান্নুর স্ত্রী শিউলি বেগম জানান, গত বুধবার রাতে ঘুমানোর আগে হাঁস-মুরগির ঘরের দরজা ঠিকমতো লাগিয়ে দেন। কিন্তু পরদিন সকালে দরজা খুলে দেখতে পান, দুটি হাঁস নেই, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৩০০ টাকা।
শিউলি বেগম আরও জানান, তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের জানানোর পর এলাকাবাসী তদন্তে নামে এবং পেপে গাছের ডাট দেখে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে। এলাকাবাসীর দাবি, চুরির রাতে সাইফুলসহ চারজন যুবক একটি বাড়িতে পিকনিক করেছিল যেখানে পেপে গাছ ছিল। ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় পেপে গাছের ভাঙা ডাট, যা ভুক্তভোগীর হাঁসের ঘরের পাশে পাওয়া যায়।
স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি আঃ মালেক হাওলাদার বলেন, "ঘটনার রাতে সাইফুলদের পিকনিকে দেখা যায়। আগেও তার বিরুদ্ধে সুপারি চুরির অভিযোগ উঠেছিল যা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়েছিল।"
ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, "এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে আলোচনার মাধ্যমে সাইফুলের অভিভাবকদের সিদ্ধান্ত দিতে বলা হয়েছে।"
তবে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, "এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকে এটিকে স্থানীয় রাজনীতির অংশ মনে করছেন, আবার কেউ কেউ সাংবাদিকতার নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন।
প্রতিবেদক - নাছরুল্লাহ আল কাফী, পিরোজপুর।