প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, টোকিওর নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা উদ্দেশে যাত্রা করেন ড. ইউনূস ও তাঁর সফরসঙ্গীরা।
চার দিনের এ সফরে ড. ইউনূস টোকিওতে প্রায় ২০টি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, যেখানে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষরের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে জাপান বাংলাদেশের বাজেট সহায়তা ও রেলপথ উন্নয়নের জন্য ১.০৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংস্কার, জলবায়ু সহনশীলতা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য স্বাক্ষরিত হয় তিনটি সমঝোতা স্মারক, যার মধ্যে একটি ৬৪১ মিলিয়ন ডলারের জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেলপথ প্রকল্পও রয়েছে।
ড. ইউনূস ‘বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার’-এ বক্তব্য দেন, যেখানে দুই দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি খাতে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারকে সই হয়।
মানবসম্পদ উন্নয়নেও গুরুত্ব দেওয়া হয় এই সফরে। হিরাকাওচো চিয়োদা সিটিতে আয়োজিত এক সেমিনারে জাপান ও বাংলাদেশ দুইটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এতে আগামী পাঁচ বছরে জাপানে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ দক্ষ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানানো হয়, যা উভয় দেশের শ্রমবাজারের জন্য ইতিবাচক বার্তা।
সফরের চূড়ান্ত দিনে ড. ইউনূস টোকিওতে ৩০তম নিক্কেই ফোরামে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সেখানেই তিনি মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশকে আসিয়ানে যুক্ত করার পক্ষে সমর্থন চান।
এছাড়া, সোকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সামাজিক উদ্ভাবন ও বৈশ্বিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।