Logo Logo
ইসলাম
শৈশবের সকাল শুরু হতো কুরআনের সুমধুর তেলাওয়াতে

মুছে যাচ্ছে মক্তবের আলো: হারিয়ে যাচ্ছে মুসলিম শিশুদের ধর্মীয় প্রথম পাঠশালা


Splash Image

ছবি. সংগৃহীত

এক যুগ আগেও গ্রামগঞ্জ হোক বা শহরের প্রান্তিক এলাকা—সকাল শুরু হতো শিশুদের সুমধুর কণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াত দিয়ে। এই পাঠশালা, যাকে আমরা মক্তব বলি, শিশুদের কুরআন শেখার পাশাপাশি নৈতিকতা, আদব-কায়দা ও ইসলামী জীবনদর্শনের প্রাথমিক জ্ঞান দিত।


বিজ্ঞাপন


মক্তব কেবল কুরআন শিক্ষার স্থান ছিল না—এটি ছিল শিশুদের চরিত্র গঠনের পাঠশালা। সালাম দেওয়া, বড়দের সম্মান, মিথ্যা বর্জন, গালাগাল না করা—এসবই শেখানো হতো এখান থেকেই।

ডিজিটাল যুগে, অভিভাবকেরা এখন বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন আধুনিক শিক্ষায়। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার চাপে অনেক সময়ই মক্তবে পাঠানোর সুযোগ হয় না। পাশাপাশি, অনেক এলাকায় মক্তব ও ক্বারীদের সংখ্যাও কমে এসেছে।

আরও একটি বড় কারণ হচ্ছে—ধর্মীয় শিক্ষা এখন আর পরিবারিক অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে নেই। অথচ শিশুর চারিত্রিক ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য ছোটবেলায় কুরআন ও ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই।

৭১১ সালে মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধু জয় করার পর থেকেই উপমহাদেশে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে মক্তব ছিল কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী। যুগ যুগ ধরে এই ব্যবস্থাই গড়ে তুলেছে ধর্মীয়ভাবে শিক্ষিত প্রজন্ম, যারা সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করেছে।

মক্তবেই শিশুরা প্রথম শিখে কুরআনের বর্ণমালা (কায়দা), আমপারা, দোয়া-দরুদ এবং ধাপে ধাপে পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত। শেষপর্যন্ত ‘ছবক’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের অর্জন উদযাপন করা হতো।

একটি আদর্শ সমাজ গঠনে প্রয়োজন ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় সুসংস্কৃত প্রজন্ম। তাই অভিভাবকদের উচিত, আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের মক্তবে পাঠানো নিশ্চিত করা।

"কুরআন শেখাও ছেলে-মেয়েকে ও হে মুসলমান,

জান কবজের সময় তোমার হইবে রে আসান!"

মক্তব সংস্কৃতি পুনরায় জীবিত করা মানে শুধুই ধর্মীয় অনুশাসন নয়, বরং ভবিষ্যৎ সমাজকে একটি মূল্যবোধপূর্ণ ভিত্তি দেওয়া।

আরও পড়ুন

ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা