বিজ্ঞাপন
একপেশে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ছিনিয়ে নিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)।
এই জয়ের মাধ্যমে শুধু প্রথম ইউরোপিয়ান মুকুটই নয়, মৌসুমের ট্রেবলও নিশ্চিত করল পিএসজি। আর মিউনিখের অলিখিত নিয়ম—নতুন চ্যাম্পিয়নের জন্ম—এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরে মেসি-নেইমার-এমবাপে ত্রয়ীর হাত ধরে যা করতে পারেনি ফরাসি জায়ান্টরা, এবার সেটাই বাস্তব হলো ডেম্বেলে, হাকিমি, ভিতিনহা, কাভারাৎসখেলিয়া ও সেনি মায়ুলুর মতো খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে। পুরো ম্যাচে ইন্টার মিলান প্রথম গোলমুখে শট নেয় ৭৪ মিনিটে। তার আগেই কার্যকর কাউন্টার অ্যাটাকে পিএসজি স্কোর করে ৪টি গোল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য
কোচ লুইস এনরিকের পরিকল্পনায় শুরু থেকেই বল দখলে রেখে খেলা শুরু করে পিএসজি। প্রথম ১৫ মিনিটে বল দখলে তারা ছিল ৬৩ শতাংশেরও বেশি সময়। ১২ মিনিটেই ভিতিনহার নিখুঁত পাস থেকে দুয়ে বল পেয়ে হাকিমিকে বাড়িয়ে দেন। হাকিমি নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে আলতো টাচে করেন প্রথম গোল।
৮ মিনিট পর নিজেই গোল করেন দুয়ে, ডেম্বেলের সঙ্গে বোঝাপড়ার মাধ্যমে। ইন্টার মিলানের রক্ষণভাগের দুর্বলতা তখনই স্পষ্ট হয়ে পড়ে।
বিরতির পর চূড়ান্ত ধ্বংসযজ্ঞ
বিরতির আগেই ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ধীরগতির শুরু হলেও পিএসজির কাউন্টার অ্যাটাক আরও ভয়ানক রূপ নেয়। ৬৩ মিনিটে ভিতিনহার পাস থেকে গোল করেন ডেম্বেলে। ৭৩ মিনিটে কাভিচা কাভারাৎসখেলিয়া করেন চতুর্থ গোল।
শেষ মুহূর্তে (৮৬ মিনিট) বারকোলার পাস থেকে সেনি মায়ুলু গোল করে ম্যাচে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন। ৫-০ ব্যবধান নিশ্চিত করে পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় জয়।
ইউরোপের নতুন রাজা
এই জয়ের মধ্য দিয়ে পিএসজি শুধু একটি শিরোপা নয়, একটি যুগের সূচনা করল। ইউরোপিয়ান ফুটবলে এখন নতুন রাজার নাম প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন।