ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তান ক্রিকেটকে ঘিরে বিতর্ক যেন থামছেই না। সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকদের পাল্টাপাল্টি মন্তব্য, ব্যক্তিগত আক্রমণ ও মানহানির অভিযোগ এখন দেশটির ক্রিকেট অঙ্গনের নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুটি ঘটনায় আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছেন দেশটির সাবেক তারকা পেসার শোয়েব আখতার। প্রথমত, পাকিস্তানের টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘দ্য ডাগআউট’-এ দেওয়া এক মন্তব্যে তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাবেক কর্মকর্তা এবং টেলিভিশন হোস্ট ড. নোমান নিয়াজকে নিয়ে বলেন, ‘তিনি আমাদের ব্যাগ বহন করতেন। তাকে ওই উদ্দেশ্যেই রাখা হয়েছিল।’ ২৫ মে প্রচারিত সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক সমালোচনা তৈরি করে।
এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ড. নোমান গত ২৯ মে শোয়েব আখতারের বিরুদ্ধে ১ বিলিয়ন রুপির মানহানি মামলা দায়েরের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে বলা হয়, শোয়েব ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য ছড়িয়ে ড. নোমানের পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন। তাকে ১৪ দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে, অন্যথায় ২০০২ সালের ডিফেমেশন অধ্যাদেশের আওতায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, পিসিবির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ড. নোমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে লেখালেখির জন্য পরিচিত ছিলেন।
এই প্রথম নয়, ২০২১ সালের অক্টোবরেও দুজনের মধ্যে জাতীয় টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। সেবার পিটিভি স্পোর্টসের এক লাইভ অনুষ্ঠানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। আলোচনায় শোয়েব আখতার পিএসএল দল লাহোর কালান্দার্সের প্রশংসা করছিলেন, ঠিক তখনই হঠাৎ হস্তক্ষেপ করেন ড. নোমান। তিনি শোয়েবকে ‘রুঢ স্বভাবের’ বলে মন্তব্য করে লাইভ অনুষ্ঠানেই চলে যেতে বলেন। অপমানজনক সেই আচরণে শোয়েব আখতার লাইভ চলাকালেই প্যানেল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং বিজ্ঞাপন বিরতির সময় প্যানেল সদস্যদের কাছে ক্ষমাও চান।
তবে বিষয়টি সেখানেই থেমে থাকেনি। শোয়েব আখতারের পদত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় পিটিভি ১০০ মিলিয়ন রুপির ক্ষতিপূরণ নোটিশ পাঠায়। এতে হতাশ হয়ে শোয়েব আইনিভাবে লড়াই করার কথা জানান। সব মিলিয়ে শোয়েব আখতারের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা এবং টেলিভিশন বিতর্ক পাকিস্তান ক্রিকেটকে আবারও অস্বস্তিকর আলোচনায় নিয়ে এসেছে। দেশের ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকদের মধ্যে এমন ব্যক্তিগত বিদ্বেষের প্রকাশ মাঠের বাইরের বিতর্ককে আরও উসকে দিচ্ছে।