বিজ্ঞাপন
একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউ প্রধান নীতিশ কুমার এক সরকারি অনুষ্ঠানে আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ, ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি হঠাৎ ইশারায় নারী চিকিৎসককে হিজাব সরাতে বলেন। নারীর অনুমতি বা বোঝাপড়ার আগেই নীতিশ কুমার নিজেই তার হিজাব টান দেন, যাতে মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়ে পড়ে।
ভিডিওতে কিছু মানুষ পেছনে হাসতে দেখা গেছে। এক পর্যায়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকে নীতিশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
বিরোধী দলগুলো মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ঘৃণ্য ও জঘন্য আখ্যায়িত করেছে। কংগ্রেস দল সরাসরি নীতিশ কুমারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন, আর নীতিশ কুমার তার নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতিশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ হওয়া উচিত।”
আরজেডি দলও নীতিশের আচরণকে নিন্দনীয় উল্লেখ করে মন্তব্য করেছে, “নীতীশজির মানসিক অবস্থা এখন করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।” তারা আরও প্রশ্ন তুলেছে, হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে থাকা জেডিইউ ও বিজেপি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে কোন রাজনীতি করছে।
এই ঘটনার পর ভারতজুড়ে নীতিশ কুমারের আচরণ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...