ছবি: সংবাদ সম্মেলন এর দৃশ্য, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব।
বিজ্ঞাপন
সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটন নির্ভর জীবিকা গড়ে ওঠা শতাধিক পেশাদার ফটোগ্রাফার অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে গেছেন। কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৈকতে পর্যটকদের ছবি তোলার পর সরাসরি অটিজি (OTG) ডিভাইসের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ডেলিভারি বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেছেন।
রবিবার (১ জুন) সকালে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। ফটোগ্রাফারদের দাবি, উপজেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সৈকতের ২২১ জন ক্যামেরা অপারেটর ও ২৫টি স্টুডিও কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে, ফলে বহু পরিবার চরম আর্থিক সংকটে পড়বে।
গত ৩১ মে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মো. রবিউল ইসলাম ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে এক বৈঠকে জানান, পর্যটকদের ‘হয়রানি’ বন্ধে সৈকতে আর স্টুডিও চালানো যাবে না এবং ছবি সরবরাহ করতে হবে শুধুমাত্র ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ৩ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় এবং তা না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফটোগ্রাফার মোকলেছুর রহমান বাবু বলেন, “আমাদের অনেকেরই নিজস্ব ক্যামেরা নেই। আমরা স্টুডিও থেকে ক্যামেরা ভাড়া নিয়ে ছবি তুলি। ডিজিটাল সেবা দিতে হলে নতুন প্রযুক্তি ও ডিভাইস লাগবে, যার জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পুঁজি নেই। অনেকেই দাদনের টাকায় কাজ করে জীবিকা চালাচ্ছে।
তারা আরও জানান, কুয়াকাটা সৈকতের পর্যটন অর্থনীতিতে এই ফটোগ্রাফাররা দীর্ঘদিন ধরে অবদান রেখে চলেছেন। হঠাৎ করে একতরফা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হলে তারা আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “পর্যটকদের অভিযোগ ও হয়রানির বিষয়ে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফটোগ্রাফারদের হয়রানি বন্ধ করতেই এটি করা হয়েছে।
-জাকারিয়া জাহিদ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি