বিজ্ঞাপন
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কে রোপণ করা হয়েছে ঋতুভিত্তিক বাহারি ফুল ও ছায়াদানকারী গাছের চারা, যার মধ্যে রয়েছে কৃঞ্চচূড়া, জারুল, গর্জন, পলাশসহ নানা প্রজাতির গাছ।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া-র স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পৌর প্রশাসক শংকর কুমার বিশ্বাস, সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জহিরুল হক খোকন, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির অধ্যক্ষ মোবারক হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, এবং আরও অনেক সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীর ঘেঁষা সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংযোগ সড়কটিকে সৌন্দর্যমণ্ডিত ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলার এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এই বৃক্ষরোপণ একদিকে যেমন ক্লান্ত পথিককে ছায়া দেবে, অন্যদিকে এ অঞ্চলকে পর্যটনের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১,০০০ (এক হাজার) গাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে এই ৯ কিলোমিটার সড়কে। এসব গাছের নিয়মিত পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও প্রশাসন নেবে বলে জানান ইউএনও ইশতিয়াক ভূঁইয়া।
জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম বলেন, “এই উদ্যোগ শুধু সড়ক নয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রকৃতিকে সবুজ ও জীবন্ত রাখার অঙ্গীকার। পরিবেশ সুরক্ষার দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়—এটি আমাদের সকলের।”
সড়কের পাশে সবুজ গাছের সারি শুধু প্রকৃতির রূপ নয়, বরং এক নতুন সম্ভাবনার পথ উন্মোচন করলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উন্নয়ন যাত্রায়।
-মোঃ খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।