বিজ্ঞাপন
রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শুরুতে অনেকে শঙ্কায় ছিলেন, এবারের কুরবানির হাট আদৌ হবে কিনা। তবে উপজেলা প্রশাসনের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে হাটগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। প্রশাসনের পর্যবেক্ষণে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত হওয়ায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বুধবার সরেজমিনে শেখপুর হাট ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই বাহারি রঙের গরু ও ছাগল নিয়ে হাটে ভিড় করতে শুরু করেন বিক্রেতারা। দুপুর গড়াতেই শুরু হয় জমজমাট বেচাকেনা। গরুর দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দরদাম ও আলোচনা তুঙ্গে উঠে। তবে সবকিছুর মাঝে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয় ‘হাসিল’ নিয়ে।
হাটে গিয়ে দেখা যায়, গরুর দামে ভেদে হাসিল নেয়া হচ্ছে মাত্র ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে ছাগলের জন্য এই হাসিল ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, যা ক্রেতাদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
হাট কর্তৃপক্ষ জানান, বাজার পরিস্থিতি, ক্রয়ক্ষমতা এবং জনস্বার্থ বিবেচনা করেই তারা এ বছর হাসিল সহনীয় পর্যায়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে ক্রেতারা যেমন সন্তুষ্ট, তেমনি বিক্রেতারাও আগ্রহ নিয়ে হাটে অংশ নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এই হাটের ইজারাদার ছিলেন ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান। তবে ইজারার পূর্ণ টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ৩ মে থেকে হাটটি খাস সম্পত্তি হিসেবে উপজেলা প্রশাসনের অধীনে বাশকান্দি ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিচালনা করছে।
এভাবে প্রশাসনিক তদারকি ও কম হাসিলের যৌথ ব্যবস্থাপনায় শিবচরের কুরবানির হাট এবার আরও স্বচ্ছ ও সংগঠিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।