বিজ্ঞাপন
এ কারণে বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটগুলোতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। অনেকেই ভিজে কিংবা জলকাদায় পা ডুবিয়ে পৌঁছেছেন গন্তব্যে।
শুধু ঢাকা নয়, দেশের আরও কয়েকটি অঞ্চলেও বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। ঈদের আগের দিন এমন আবহাওয়া জনজীবনে বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। বিশেষ করে যেসব মানুষ পরিবারসহ ভ্রমণ করছেন, তাদের জন্য পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরও কষ্টকর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় রয়েছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে। এর ফলে দেশের আটটি বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্বাভাস অনুযায়ী, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে। তবে সারাদেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া আরও এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার এই রূপ ঈদযাত্রায় কিছুটা হলেও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। বিশেষ করে যাত্রাপথে ভিজে যাওয়ার ভয়, যানজটে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকা কিংবা ট্রেন-লঞ্চে অপেক্ষার সময় আরও দীর্ঘ হয়ে যাওয়া—সব মিলিয়ে ঈদের আগে দিনটি হয়ে উঠেছে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং।
তবে অনেকে বলছেন, ঈদের খুশির কাছে এসব সাময়িক দুর্ভোগ তেমন কিছু নয়। বরং বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তিও এনে দিচ্ছে গরমের ক্লান্ত দিনগুলোয়।