ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
চীনা দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বৈঠকে অংশ নেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল। এনসিপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি বিশ্বাস করে, টেকসই গণতন্ত্র গড়তে হলে প্রয়োজন জনআকাঙ্ক্ষাভিত্তিক কাঠামোগত সংস্কার। এ জন্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন ও প্রকাশ অপরিহার্য।” তিনি এটিকে শুধু নীতিগত দলিল নয়, বরং গণআন্দোলনে প্রাণ দেওয়া শহীদদের প্রতি নৈতিক দায় হিসেবেও উল্লেখ করেন।
নাহিদ ইসলাম আরও জানান, এই ‘জুলাই সনদ’ নির্বাচনী সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণকে একটি সুস্পষ্ট রূপরেখায় উপস্থাপন করবে। এনসিপি আশা করে, সরকার ও রাজনৈতিক পক্ষগুলো বিলম্ব না করে আন্তরিকতার সঙ্গে সনদটি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেবে।
তিনি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বলেন, “জনগণের আস্থা ফেরাতে ইসির কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া বিকল্প নেই।” তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, গণপরিষদ এবং পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এনসিপির প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “চীন সবসময় ‘অ-হস্তক্ষেপ’ নীতিতে বিশ্বাসী। তবে আমরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংলাপ ও তরুণ নেতৃত্বের বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা আশা করি।”
বৈঠকে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম এবং যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসীন রিয়াজ উপস্থিত ছিলেন। দুই পক্ষই গণতন্ত্র ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের স্বার্থে কৌশলগত বোঝাপড়া, সম্মানজনক সংলাপ এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠক শেষে এনসিপি চীনা দূতাবাসের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।