Logo Logo
ইসলাম
হজ ২০২৫

‘এক উম্মাহ, এক লক্ষ্য’—আরাফার খুতবায় মুসলিমদের ঐক্যের প্রতি গুরুত্বারোপ


Splash Image

ছবি: সংগৃহীত, আরাফার ময়দান।

১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র হজের খুতবা দেন সৌদি আরবের প্রখ্যাত আলেম ও বিচারবিদ শায়খ ড. সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ। মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে তিনি মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকার জরুরি আহ্বান জানান।


বিজ্ঞাপন


পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই নিপীড়িত ফিলিস্তিনি মুসলিমদের মুক্তি ও বিজয়ের প্রার্থনাও করেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার পর (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার পর) ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরায় দেওয়া এই খুতবা বিশ্বের ৩৫টি ভাষায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

শায়খ ড. সালেহ বিন আবদুল্লাহ বলেন, ঈমানদারদের আল্লাহর প্রতি ভয়ের সঙ্গে তাকওয়া অবলম্বন করা উচিত। তাকওয়া হলো ঈমানদারের গুণ, আর শয়তান মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু। তিনি মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার গুরুত্বের উপর জোর দেন।

তিনি আরও বলেন, আল্লাহ তায়ালা ইসলামকে মানবজাতির জন্য আদর্শ দ্বীন হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। যদি তুমি তোমার শত্রুকে ক্ষমা করো, তাহলে আল্লাহ তোমাকে তাঁর বিশেষ বন্ধু বানিয়ে নেবেন।

খুতবায় শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ বলেন, সৎকর্ম পাপসমূহকে মুছে দেয়, তাই নেক কাজের প্রতি যতটা সম্ভব মনোযোগ দেওয়া উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করো যেন তুমি তাঁকে দেখছো।

তিনি ইসলামের তিনটি স্তর উল্লেখ করে বলেন, যার সর্বোচ্চ স্তর হলো ‘ইহসান’। পিতা-মাতার প্রতি সদয় হওয়া, নম্রতা প্রদর্শন ও প্রতিশ্রুতি পালনও ইসলামের অন্তর্ভুক্ত। লজ্জাশীলতা বা হায়া ঈমানের একটি শাখা।

শায়খ সালেহ আরও বলেন, হজের সময় বেশি বেশি আল্লাহর জিকির (স্মরণ) ও দোয়া করা উচিত। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য একে অপরকে সাহায্য করা এবং মন্দ কাজে বাধা দেওয়া ইসলামের আদর্শ।

সকালে থেকে লাখ লাখ হাজি আরাফাতের ময়দানে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হন। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান।

খুতবার পর হাজিরা এক আজান ও দুই ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেন। মাগরিব পর্যন্ত আরাফাতেই অবস্থান করেন, এরপর মাগরিবের নামাজ না পড়ে মুজদালিফায় চলে যান। সেখানে এক আজান ও দুই ইকামতে মাগরিব ও ইশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করা হয়।

মুজদালিফায় রাত কাটিয়ে কংকর সংগ্রহের পর হাজিরা মিনার ময়দানে যান, যেখানে শয়তানকে কংকর মারার ও পশু কোরবানির বিধান পালন করেন। এরপর বায়তুল্লাহয় ফরজ তওয়াফ সম্পন্ন করে মিনায় দুই দিন অবস্থান ও শয়তানকে কংকর মারার মাধ্যমে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

আরও পড়ুন

ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা