ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
এটি তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে পোস্ট করেছেন, যাতে তিনি গত ৮ মাসে বিডার নেওয়া ৩০টি রিফর্ম উদ্যোগ প্রকাশ করেন এবং সেগুলোর অগ্রগতির বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বিডা'র চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর পোস্টে জানান, "অনেকেই ভাবেন আমরা শুধু প্রেজেন্টেশন দিই। বাস্তবে বিগত ৮ মাসে আমরা ৩০টি রিফর্ম উদ্যোগ চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে ১৮টিতে আমরা রোডম্যাপের চেয়ে এগিয়ে, ৭টিতে অন-ট্র্যাক এবং ৫টিতে পিছিয়ে। আমরা চাই ফলাফল নিয়ে কথা বলতে।"
তিনি আরও বলেন, এই রিফর্ম কার্যক্রম ৩টি স্তরে কাজ করছে—
- নীতি পর্যায়ের রিফর্ম,
- অপারেশনাল রিফর্ম (বিনিয়োগকারীদের সমস্যার বাস্তব সমাধান), এবং
- বাংলাদেশকে একটি ইনভেস্টমেন্ট ডেস্টিনেশন হিসেবে গড়ে তোলা।
বিডার প্রকাশিত ৩০টি উদ্যোগের তালিকা:
➤ রোডম্যাপে এগিয়ে থাকা ১৮টি কার্যক্রম:
১. বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নিয়মিত কনসালটেশন
২. ৫টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের রোডম্যাপ প্রকাশ
৩. স্টার্ট-আপ ফ্যাসিলিটেশন স্ট্র্যাটেজি (Starter Pack)
৪. বিডা ওয়ান স্টপ সার্ভিসে ডেটা পাবলিশ
৫. ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজির খসড়া চূড়ান্
৬. সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্স গঠন
৭. গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজারদের জন্য ফ্রি ট্রেড জোন কনসেপ্ট
৮. বিডা ওয়েবসাইটের আধুনিকায়ন
৯. অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া একটিভেশন
১০. ইনভেস্টর লাউঞ্জ চালু
১১. ডে-কেয়ার সুবিধা
১২. পেপারলেস প্রসেসিং চালু
১৩. ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসা সিস্টেম উন্নয়ন
১৪. স্টেকহোল্ডার প্ল্যাটফর্ম চালু
১৫. OSS সেবার ডিজিটাল অডিট
১৬. জেলায় বিনিয়োগ চিহ্নিতকরণ শুরু
১৭. বিদেশি দূতাবাস ও ব্যবসায়িক ফোরামের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ
১৮. উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও সাপোর্ট সেশন
➤ পরিকল্পনা অনুযায়ী (On Track) থাকা ৭টি কার্যক্রম:
১৯. দক্ষ রিফর্ম টিম গঠন
২০. ডিজিটাল সেবা একীভূতকরণ
২১. বিনিয়োগ সংক্রান্ত লাইসেন্স সংখ্যা হ্রাস
২২. বেসরকারি খাতে বিনিয়োগকারীদের সমর্থন নীতিমালা
২৩. প্রাইভেটাইজেশন পরিকল্পনা প্রণয়ন
২৪. বিডা-বেজা আইন হালনাগাদ প্রক্রিয়া
২৫. বিনিয়োগে নারী অংশগ্রহণ বাড়াতে পদক্ষেপ
➤ পিছিয়ে থাকা ৫টি কার্যক্রম :
২৬. প্রাইভেট সেক্টর অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল গঠন
২৭. ট্যাক্স ইনসেনটিভ সংস্কার প্রক্রিয়া
২৮. জ্বালানি নিরাপত্তা পরিকল্পনায় অগ্রগতি কম
২৯. ক্যাপিটাল রিপ্যাট্রিয়েশনের নীতিমালা হালনাগাদ
৩০. বিডার অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কার
বিডার এমন উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ অগ্রগতি প্রতিবেদন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরি সাধারণ জনগণ ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছেন। তবে, পিছিয়ে থাকা ৫টি গুরুত্বপূর্ণ রিফর্ম যেমন ট্যাক্স পলিসি, জ্বালানি পরিকল্পনা এবং প্রাইভেট সেক্টর কনসালটেশন—এইগুলো দ্রুত কার্যকর করা গেলে বাস্তব বিনিয়োগ পরিস্থিতি আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: আশিক চৌধুরির ফেসবুক পোস্ট