বিজ্ঞাপন
সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া এই জামাতে অংশ নেন জেলার সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
প্রায় ১০ হাজার মুসল্লির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করেন গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় কোর্ট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শেখ হাফিজুর রহমান। নামাজ শেষে তিনি খুতবা পাঠ করেন এবং বাংলাদেশের শান্তি, কল্যাণ ও মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন।
বিশেষভাবে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের অবসান ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য আল্লাহর গায়েবী সাহায্য কামনা করে হৃদয়স্পর্শী দোয়া করা হয়। এতে মুসল্লিদের মধ্যে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এই জামাতে অংশ নেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও তার দুই পুত্র, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবির, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম তারেক সুলতান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসান, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তিসহ বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
ঈদ জামাতকে ঘিরে পৌর কর্তৃপক্ষ আগেভাগেই ঈদগাহ ময়দানে সাজসজ্জার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তৈরি করা হয় নান্দনিক প্যান্ডেল, শহরের সড়কগুলোতে টাঙানো হয় রঙিন পতাকা ও ফেস্টুন। পাশাপাশি জেলা ও পৌর এলাকার সরকারি ভবনগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করে ঈদের আমেজকে আরও বর্ণিল করে তোলা হয়।
এদিকে, কেন্দ্রীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত শেষে গোপালগঞ্জ থানাপাড়া মসজিদে সকাল ৮টায় এবং এসকে আলিয়া মাদ্রাসায় সকাল সাড়ে ৮টায় আরও দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের ঈদ জামাত ছিল শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। ঈদগাহ ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল জেলা পুলিশ প্রশাসন।
প্রতিবেদক - মোঃ শিহাব উদ্দিন, গোপালগঞ্জ।