বিজ্ঞাপন
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ মূল্যায়ন করে সভা মনে করে, ভাষণে উপস্থাপিত অনেক বিষয় তার সাংবিধানিক ‘ম্যান্ডেটের’ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে বন্দর ও করিডর সংক্রান্ত আলোচনা এবং শব্দ চয়নে রাজনৈতিক ভব্যতা লঙ্ঘন করায় সভায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
সভায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময়সীমা হিসেবে আগামী বছরের এপ্রিলের প্রস্তাব দিলেও সেটি বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ, এপ্রিলের শুরুতে আবহাওয়া চরমে পৌঁছায় এবং রমজানের মধ্যে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে। অথচ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বাস্তব বাধা নেই বলেই বিএনপি মনে করে।
বিএনপি বলছে, বাংলাদেশের মানুষ প্রায় দেড় যুগ ধরে মৌলিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। গুম, খুন, নির্যাতন, কারাবরণসহ নানা নিপীড়ন সহ্য করে তারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় লড়াই করেছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের আন্দোলন ছিল জনগণের ঐতিহাসিক আত্মত্যাগের প্রতিচ্ছবি। সে বাস্তবতায় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও বিলম্ব জনমনে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি করছে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি মনে করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক পক্ষের প্রভাবিত অবস্থানে থেকে নিরপেক্ষতার প্রশ্নে বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। ফলে দেশের সাধারণ মানুষ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহে পড়ে যাচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত।