ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৯ মে) আদালতের আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার আদালতে তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন এলাকায় ঘটে যাওয়া একটি সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাদী এনামুল হক একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে তিনি দাবি করেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ২৮৩ জন সদস্য এই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং অভিযুক্তদের অনেকেই আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন।
এই মামলায় শোবিজ অঙ্গনের ১৭ জন তারকার নাম উঠে আসে, যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন নুসরাত ফারিয়া। মামলায় বলা হয়, অভিযুক্তরা আন্দোলন দমন ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার মাধ্যমে হত্যাচেষ্টায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
রোববার (১৮ মে) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে। তার নামে থাকা মামলার তথ্য ইমিগ্রেশন ডাটাবেইসে ওঠে এলে, বিদেশ যাত্রা স্থগিত করা হয় এবং তাকে সঙ্গে সঙ্গে হেফাজতে নেওয়া হয়।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল ভূঁইয়া। আদালতে এসআই জানান, তদন্তের স্বার্থে নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মঙ্গলবার সকালে পুনরায় শুনানি শেষে জামিনে মুক্তি পান নুসরাত ফারিয়া। তবে মামলাটি এখনো তদন্তাধীন থাকায় তাকে দেশের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে এবং নিয়মিত আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে জামিন দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, তারকারা আইন থেকে ছাড় পান না, আবার কেউ বলছেন—এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা।