ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বাপ্পা মজুমদার জানান, ভবনের নিচতলা থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। তিনি বলেন, “ইন্টারকমে কল পেয়ে দ্রুত বের হওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু চারদিকে ধোঁয়ায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। হঠাৎ আগুনের আঁচ মুখে এসে লাগে, তখন সত্যি বলতে ভয় পেয়ে যাই।”
বিপদের মুহূর্তে গীতিকার শাহান কবন্ধের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এরপর স্ত্রী তানিয়া হোসাইন ও তাঁদের দুই কন্যাসন্তানকে নিয়ে বারান্দায় আশ্রয় নেন বাপ্পা। সেখান থেকেই নিরাপদে বাসা ত্যাগ করেন তাঁরা।
এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে বাপ্পা মজুমদার লেখেন, "আমাদের বিল্ডিংয়ে আগুন লাগার ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি, আমরা সবাই নিরাপদে আছি। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে অশেষ ধন্যবাদ, তারা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে কী যে হয়ে যেত, ভাবতেই শিউরে উঠছি!"
সংগীতশিল্পী আরও বলেন, “সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে বড় ধরনের বিপদ থেকে বেঁচে গেছি। রাস্তায় ভোরে মানুষ কম থাকায় ফায়ার সার্ভিস দ্রুত পৌঁছাতে পেরেছে, নইলে কী যে হতো, ভাবতেই পারছি না। আমি এখনো মানসিক ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারিনি।”
ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। যদিও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে সময় লাগবে, তবে সবচেয়ে বড় স্বস্তির বিষয় হলো, কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।