ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে ৪৩ হাজার ৮২৭টি টিইইউ (TEU) কনটেইনার জমা হয়েছে, যার মধ্যে খালি কনটেইনার ৫ হাজার ৭৪৭টি। বহির্নোঙরে অবস্থান করছে ১৭টি জাহাজ, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৬২৬টি কনটেইনার।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, কর্মবিরতির সময় আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন বন্ধ থাকায় পণ্য খালাস ব্যাহত হয়। এর ফলে কনটেইনার জমে গেছে এবং বহির্নোঙরেও বেড়েছে অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যা। যদিও এখন কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তারপরও backlog কাটাতে সময় লাগবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজার বিল অব অ্যান্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয়। এই প্রবাহ এক সপ্তাহের বেশি সময় স্থবির থাকায় আমদানি ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে ক্ষোভ ও আর্থিক ক্ষতি উভয়ই বাড়ে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বন্দরের ভেতরে ৯০১৬টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে এবং ৪৫২৫টি কনটেইনার জাহাজ থেকে খালাস করা হয়েছে। এই গতি অব্যাহত থাকলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক এএসএম রেজাউল করিম স্বপন বলেন, “সোমবার সকাল থেকে কাস্টমসের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে। আশা করছি এ সপ্তাহেই শুল্কায়নের গতি অনেক বাড়বে।”
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার টিইইউ। এখন সেখানে রয়েছে ৪৩ হাজারের মতো কনটেইনার। ঈদের আগেই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বন্দরের কার্যক্রম।”
অবশ্য, সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এনবিআর বিলুপ্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে কাস্টমস প্রশাসনের সঙ্গে আগাম আলোচনা না করাই এই সংকটের মূল কারণ। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে সরকারকে সচেতন পদক্ষেপ নিতে হবে।