বিজ্ঞাপন
শয়তান মানুষের চিরশত্রু। আল্লাহর আদেশ অমান্য করে সে জান্নাত থেকে বিতাড়িত হয় এবং প্রতিজ্ঞা করে যে, যতদিন মানুষ দুনিয়ায় থাকবে, ততদিন সে তাদের পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তার এই ধোঁকা ও ওয়াসওসা থেকে বাঁচতে হলে চাই সচেতনতা, আমল এবং আল্লাহর সাহায্য।
রাসুল (সা.) নির্দেশিত নিরাপত্তার দোয়া
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি দোয়া আমাদের শিখিয়েছেন, যা শয়তানের প্রতারণা থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। হাদিসে এসেছে—
দোয়ার উচ্চারণ:
“লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন কাদির।”
বাংলা অর্থ:
আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সব কিছুর ওপর সক্ষম।
হাদিসের আলোকে দোয়ার ফজিলত
ইমাম বুখারি (হাদিস: ৩২৯৩) বর্ণনা করেছেন, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি এই দোয়াটি একশবার পাঠ করবে, সে ১০ জন দাস মুক্ত করার সওয়াব পাবে, ১০০টি সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে এবং ১০০টি গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। সেই দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত সে শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে।”
দৈনন্দিন জীবনে শয়তানের প্রভাব এবং প্রতিকার
শয়তান শুধু খারাপ চিন্তা দিয়েই নয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজে প্রভাব ফেলে। এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন:
“যখন কেউ ঘরে ঢোকে এবং খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে, তখন শয়তান বলে, এখানে থাকারও জায়গা নেই, খাওয়ারও কিছু নেই।” (মুসলিম)
এজন্য রাতে ঘুমানোর সময় পাত্র ঢেকে রাখা, দরজা বন্ধ করা ও আল্লাহর নাম নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এতে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না, এবং নিরাপত্তাও বজায় থাকে।
ইসলামি জীবনে আত্মশুদ্ধি ও শয়তানের প্ররোচনা থেকে নিরাপদ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা নিয়মিত এই দোয়া পাঠ করেন, তাদের আত্মিক প্রশান্তি, মনোসংযোগ এবং ইবাদতে মনোযোগ বাড়ে—এমন অভিজ্ঞতা বহু ধর্মপ্রাণ মুসলমানের রয়েছে।