বিজ্ঞাপন
তারা সন্ত্রাসী শফি গাজীর সহযোগী আনারুলকে গণপিটুনি দিয়ে আহত করে এবং পরে একত্রিত হয়ে শফির বাড়িসহ দুটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে কাটাখালী বাজারে উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে, গ্রামবাসীরা সংগঠিত হয়ে শফির বাড়িতে হামলা চালায়। সেখান থেকে পুলিশ ৮টি দেশীয় অস্ত্র ও বিদেশি মদের তিনটি খালি বোতল উদ্ধার করেছে।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (চলতি দায়িত্বে) ইদ্রিসুর রহমান জানান, “পোড়ানো দোকান ও বাড়ি পরিদর্শন করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।”
মিজানুর সরদার বলেন, “৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই শফি বাহিনী আমার ঘের থেকে তিন লাখ টাকার মাছ লুট করে। এরপর ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় ঈদের দিন রাতে বাড়িতে এসে আমাকে কুপিয়ে আহত করে।”
একই ধরনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা রয়েছে এলাকার আরও অনেকের। রুপালি বেগম নামে এক গৃহবধূ বলেন, “শফি বাহিনীর অত্যাচারে অনেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। রাত নামলেই অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়, কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।”
বাজার কমিটির সদস্য মোস্থফা গাজী বলেন, “আমি ৩০ মে বাজারে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করি। এরপর শফির পক্ষ থেকে আমাকে ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।”
কাটাখালী বাজার কমিটির সভাপতি ও বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান ময়না বলেন, “শফি বাহিনী এমন কোনো অপরাধ নেই যা করছে না। বাজারের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে আশপাশের গ্রামবাসী পর্যন্ত সবার জীবনে বিষ ঢেলেছে তারা।”
প্রতিবেদক - আসাদ ইসলাম, পাইকগাছা, খুলনা।