বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, ৬৫ বছর বয়সী মোছা. সালেয়া বেগম দীর্ঘ চার দশক ধরে ভিক্ষা করে আসছেন। তিনি সিরাজগঞ্জ কওমি জুট মিলের বারান্দায় একা বসবাস করতেন। কখনো নিজের প্রয়োজন কিংবা অসুস্থতার সময়ও টাকা খরচ করতেন না। তার একমাত্র মেয়ে মোছা. শাপলা খাতুনের স্বামী মাছুমপুর পশ্চিমপাড়ার রিকশাচালক মো. শহিদুল ইসলাম।
মোছা. শাপলা খাতুন জানান, “মা আমাদের সঙ্গে থাকতেন না, একাই থাকতেন। আজ তার থাকার জায়গা থেকে অনেক টাকা পাওয়া গেছে। এখন আমি মায়ের কাছে আছি। এই টাকা দিয়েই তার চিকিৎসা করানো হবে।”
জামাতা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “শাশুড়ি কিছুদিন ধরে অসুস্থ। আমি বলেছিলাম, আপনার চিকিৎসা করাবো, কিন্তু তিনি কখনো বলেননি কত টাকা আছে তার কাছে। আজ এলাকাবাসী গিয়ে তার বারান্দার নিচ ও আশপাশ থেকে দুই বস্তা টাকা উদ্ধার করেছে। এখন সবাই মিলে গুনছে।”
স্থানীয় যুবক শুভ বলেন, “আমি চা খাচ্ছিলাম, হঠাৎ দেখি রিকশায় করে দুই বস্তা টাকা নিয়ে আসা হচ্ছে। সালেয়া বেগম প্রায় ৪০ বছর ধরে ভিক্ষা করেন। আমরা কেউ জানতাম না তার কাছে এত টাকা আছে। দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মতো হতে পারে।”
টাকা গণনায় অংশ নেওয়া মো. রাশেদুল ইসলাম আলম জানান, “সালেয়া পাগলা নামে পরিচিত ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে কওমি জুট মিলে থাকেন। দুই মাস ধরে তিনি অসুস্থ। আমার ধারণা ছিল কিছু টাকা আছে তার কাছে, কিন্তু দুই বস্তা পাওয়া গেছে। অনেক টাকা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন টাকাগুলো গোনা হচ্ছে এবং এগুলো তার চিকিৎসায় ব্যয় করা হবে।”
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শিপু বলেন, “ওই ভিক্ষুক প্রায় ৪০ বছর ধরে ভিক্ষা করে টাকা জমিয়েছে। বর্তমানে তিনি অসুস্থ। উদ্ধার হওয়া টাকা স্থানীয়রা জনসম্মুখে গুনছে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, টাকাগুলো তার চিকিৎসার জন্যই ব্যয় করা হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...