বিজ্ঞাপন
রোববার (১৯ অক্টোবর) বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শরিয়ত উল্লাহ এ আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো ছয় আসামি হলেন—বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মো. হায়াত মাহমুদ মিল্টন, মো. মোলায়মান কবির, মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে জামাল মল্লিক, এমদাদুল হক মিলন, মো. আকতারুল হক ও মো. শাহজাহান মুন্সী। এ ছাড়া আসামি সাইফুল প্রিন্সকে জামিন দিয়েছেন আদালত। এরা সবাই ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) মো. ইসরাত হোসাইন সুমন।
মামলার বাদী মোসা. মুন্নী জানান, তার স্বামী মো. মনিরুজ্জামান এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মাইঠা ব্রিজ স্ট্যান্ড এলাকায় গত ১৫ বছর ধরে সার, কীটনাশক, বিভিন্ন প্রজাতির বীজ, মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশের ব্যবসা করে আসছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাত ৯টার দিকে আসামিরা প্রথমে দোকান লুটপাট করে এবং পরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এতে তার প্রায় ৪২ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০ টাকার ক্ষতি হয়।
ঘটনার পর ওই বছরের ২৭ আগস্ট বাদী আদালতে ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শরিয়ত উল্লাহ মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ওসিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নয়জন আসামির বিরুদ্ধে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা এইচ এম মেহেদী গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আটজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বাদী জানান, মামলা করার এক বছর দুই মাস পর তিনি জামিনে ছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। পরে রোববার দ্রুত বিচার আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিনের আবেদন করলে আদালত একজনকে জামিন দিয়ে ছয়জনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, মামলার আসামি কামরুল ইসলাম মিরাজ মামলা হওয়ার পর থেকে বিদেশে পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, “আমার মক্কেলরা নিয়ম মেনে জামিনে ছিলেন, কোনো শর্ত ভঙ্গ করেননি। তাছাড়া ৫ আগস্টের জুলাই যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে করা সব মামলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াধীন। আমরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করব।”
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি মো. ইসরাত হোসাইন সুমন বলেন, “পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...